স্ট্রিং তত্ত্বের সহজপাঠ ২ : একই বৃন্তে তিন ফুল

এই দ্বিতীয় চার্জটি কীভাবে বুঝল যে ওখানে আরেকটি চার্জ আছে? এ প্রশ্নের উত্তরে কুলম্ব বলেছিলেন, দূরক্রিয়ার প্রভাবের কথা। অর্থাৎ একটা চার্জ আরেকটি চার্জের কাছাকাছি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে তারা টের পেয়ে যাবে একে অন্যের উপস্থিতির কথা। অর্থাৎ একটা থেকে আরেকটায় বৈদ্যুতিক চৌম্বক বলের খবর পৌঁছাতে সময়ই লাগবে না। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল মানতে পারেননি দূরক্রিয়ার ধারণা। তিনি বলেছিলেন, প্রথম চার্জটির উপস্থিতির জন্য শূন্যস্থানে সৃষ্টি হচ্ছে একটি বিদ্যুৎ–চুম্বকীয় ঢেউ বা তরঙ্গ।

স্ট্রিং তত্ত্বের সহজপাঠ ১ : সুতোয় বোনা মহাব্শ্বি

বাকি জীবন আইনস্টাইন কী করেছিলেন, যার জন্য মোটা দাগে তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে? সত্যি বলতে কি, মহাজাগতিক ধ্রুবকের জন্ম দেওয়া, বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান আর কনডেনসেটে অবদান রাখা এবং কোয়ান্টাম মেকানিকসে টুকিটাকি কাজ। এ সময়ে যতটা না আবিষ্কার করেছেন, তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন কোয়ান্টাম বলবিদ্যার বিরোধিতা করতে গিয়ে। তাই বলে কি আইনস্টাইন হাত গুটিয়ে বসেছিলেন সাধারণ আপেক্ষিকতা প্রকাশের পরের ৪০ বছর?

বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪৬: চোরকাঁটা

আধাফুঠ উঁচুতে উঠে গেছে যেন মাঠ। চোরকাঁটার সেই গালিচা মাড়িয়ে আমরা ফুটবল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতাম। দলে-মলে যেত চোরকাঁটার বাদামি সৌন্দর্য। চোরকাঁটাও মুখ বুজে এ অন্যায় মেনে নেয় না। প্রতিশোধ নেয় কাঁটার মতো ফল আমাদের পোশাকে বিঁধিয়ে দিয়ে। অস্বস্তি লাগে তাতে। কিছুটা চুলকায়ও। কিন্তু পোশাক থেকে খুঁটে খুঁটে চোরকাঁটা ছাড়ানোর যে মজা, তার কাছে সামান্য অস্বস্তি চুলকানি কিছুই নয়। অনেক সময় ইচ্ছে করেই চোরকাঁটার দঙ্গলে পা ডুবিয়ে পোশাক গেঁথে নিতাম।

বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪২ : বনওকড়া

আকাশটা কালো করে মেঘেরা আসে। ঝমঝম বৃষ্টি নামে গাঁয়ে। প্রকৃতিতে সবুজের প্রলেপ বুলিয়ে দেয় বর্ষা। মাঠে, জঙ্গলে, বাগানে। আম-কাঠালের বনে শুধু নয়। শীত আর গ্রীষ্মের অত্যাচারে এতদিন পর্যদুস্তু হয়ে হয়ে ছিল নাম-পরিচয়হীন গুল্মলতারা। এখন তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সময়। ভাট-আশ্যাড়ার শরীরে আগেই বান ডেকেছে। কিন্তু কিছু গুল্মের বীজেরা মাটির গভীরে শুয়েছিল। অপেক্ষায় ছিল বর্ষার... Continue Reading →

কোয়ান্টাম ফিজিক্স-১ : আলোর কণাতত্ত্ব ও এর ত্রুটি

যেকোনো গতিশীল পদার্থকে বাধা দিয়ে থামানো যায়। আলোকে থামানো যায় না। চলার পথে বাধা এলে সে দিক পরিবর্তন করে অন্য দিকে চলে যায়। তাই পদার্থের বৈশিষ্ট্য আলোর নেই। আলোর শক্তি আছে। আলো তাপ উৎপন্ন করতে পারে। শক্তি আছে বলেই পারে। আলোর গতি আছে। শক্তি না থাকলে গতি থাকার কথা নয়। সুতরাং আলো নিশ্চয়ই শক্তি বহন করে। কিন্তু প্রাচীন যুগে এটা প্রমাণ করার খুব বেশি উপকরণ ছিল না।

Website Built with WordPress.com.

Up ↑